বন্ধুরা এটা বলা ভুল হবে না যে আমাদের শরীর যতই strong হোক না কেন যদি আমাদের ব্রেন দুর্বল হয় তাহলে বর্তমান সময়ের সাথে আগানো বা ব্রাইট ফিউচার কল্পনা করা সম্ভব নয়। আমাদের মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের সবচেয়ে রহস্যময় অঙ্গ আর বিজ্ঞানীরা সর্বদা এটি সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করে চলেছে। কিন্তু এখনো এমন অনেক তথ্য রয়েছে যা আমাদের কাছে রহস্যই।
আর এজন্যই কয়েক বছরের মধ্যে মানুষের মস্তিষ্কে করা রিচার্চ সম্পর্কে আমি আপনাদেরকে বলবো। কিভাবে আমাদের ছোট ছোট পছন্দ। কত ছোট ছোট অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্ককে দুর্বল করে দিচ্ছে। টোটাল ৬টি অভ্যাস আমি সিলেক্ট করেছি। আর এই অভ্যাসগুলো আপনার মধ্যে থেকে থাকলে আজই ত্যাগ করুন। তো আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যাচ্ছি মূল বিষয়ে।
৬/ কুজো হয়ে চলা। আমাদের চলার স্টাইলও আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।একটি রিচার্জ অনুসারে যে ব্যক্তি কুজো হয়ে হাটে সে খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যায়। এসব মানুষ ইতিবাচক স্মৃতির ছেয়ে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা বেশি মনে রাখে। আর এটি তার মস্তিষ্কের ক্ষতি করে এবং তার অ্যালজাইমার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে আজকাল মানুষ কতটা রাগান্বিত হয়ে গেছে। এর কারণ হতে পারে নিচু হয়ে চরা বা ঝুকে চলা। তো আপনিও দেখে নিন যখন আপনি হাটছেন তখন আপনার মোবাইলের দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে হাঁটছেন না তো। না হাটলেই ভালো। আর যদি মাথা নিচু করে হাঁটেন তবে দয়া করে হাঁটবেন না, শুধু চলতে চলতেই নয় জীবনের বেশিরভাগ সময়ই মানুষের শুধু মোবাইলে দিকে মাথা নিচু করে চলে যায়।
তো এই অভ্যাসটি কে নিয়ন্ত্রন করুন। চলবেন তো মাথা উঁচু করে চলুন এতে আপনাকে আত্মবিশ্বাসিও মনে হবে। আর এটা আপনার মস্তিষ্কের জন্য ভালো হবে।
৫/ সব কিুছর ছবি তোলা। সব কিছুর ছবি তোলা আরেকটি অভ্যাস যারপ্রতি আজকাল প্রচুর ঝোক রয়েছে। আমাদের জীবনের প্রতি মুহূর্তের ছবি তোলা আমাদের মস্তিষ্কের বিশেষ ঘটনা মনে রাখার ক্ষমতা কে নষ্ট করে দেয়।ফায়াপিরি ইউনিভার্সিটির রিচার্জ মতে ছবি তুলবার অভ্যাস আমাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল করে দিচ্ছে। এর কারণ যখন আমরা কোনো কিছু ছবি তোলে তখন আমাদের পোকাসের বেশিরভাগই ক্যামেরা ফ্রেমের দিকে থাকে। পরে আমরা শুধু ওই ফ্রেমই মনে করি সামগ্রিক অভিজ্ঞতা আমরা মনে করতে পারি না। যে আমাদের চারপাশে কি ঘটেছিল তাই সেই মুহূর্তের ছবি তোলার পরিবর্তে আমাদের সেই মুহূর্তটিতে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করা উচিত।
৪/ ক্সেসাইজ না করা। যদি আপনি সপ্তাহে তিনদিন ও ব্যায়াম করেন তবে বিষন্নতার ঝুঁকি 90 শতাংশ কমে যায়। লন্ডন ইউনিভার্সিটি রিচার্চ অনুযায়ী শারীরিক কার্জকলাম এবং হতাশার মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে আরেক নিউরো সাইনক্টিস বলেন ভিষন্যতা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই বিপদজনক। তাই অযথা বসে না থেকে ব্যায়াম করুন।
৩/ ঘুম থেকে দূরত্ব। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ঘুম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভালো ঘুমের পর মন ও মানসিক শক্তি এবং আমাদের শরীর সতেজ হয়ে উঠে। অন্যদিকে ঘুমের অভাবে যখন ডিমেনশিয়া অর্থাৎ স্বল্প সময়ে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া সহ আরো অনেক রোগের সূচনা হতে শুরু করে। যার প্রভাব এখন হয়তো বুঝতে পারছেন না কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর প্রভাব দেখা দেয়া শুরু করবে। এখন তো চাবি রেখে ভুলে যান কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে হতে পারে যে আপনি আপনার স্ত্রীকে ভুলে গেলেন।
২/ মাল্টিটাস্কিং। সব মানুষ চায় একসাথে অনেকগুলো কাজ করতে। যাতে তার সময় বেঁচে যায়। কেউ কেউ মনে করেন যে তিনি একবারে অনেকগুলো কাজ করে আরও দক্ষ কর্মী হয়ে উঠছেন। আসলে এমন কিছুই হয় না মূলত মাল্টিটাস্কিং আপনাকে মানসিক অবসাদের স্বীকার করে দেয়। একসাথে অনেক কাছে পোকাচ করার চেষ্টার কারণে আমাদের সম্পর্ক কেউ প্রভাবিত করে। কিভাবে সেটা বলছি অনেক সময় আমরা অজান্তেই মাল্টিটাস্কিং করে থাকি। যেমন টিভি দেখার সময় ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিং করা আবার ইউটিউবে ভিডিও দেখা। এখন অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন এটা সম্পর্ক কে কিভাবে প্রভাবিত করে। যখন আপনি ভিডিও দেখছেন আবার ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিং করছেন আবার ইউটিউবে ভিডিও দেখছেন আর আপনার লাইফ পার্টনার আপনার সাথে বসে আছে। আপনি শুধু তার কোশ্চেনের অ্যানসার হা হু করে দিয়ে থাকেন ফলে সে একটা সময় আপনার উপরে বিরক্ত হয়ে যাবে। এটা খুবই বিরক্ত করো খারাপ অভ্যাস তাই এরকম একদমই করবেন না। একবারে একটা কাজই করেন আমি নিজেও আগে মাল্টিটাস্কিং করতামoযখন থেকে একটা কাজ করা শুরু করলাম তখন থেকে আমার জীবন আরো পরিবর্তন হয়ে গেছে। আর একি কথা ডেল কার্নেগী 70 বছর আগে নিজের বইয়ে হাউ টু স্টপ ওয়ারিং টুয়ে বলেছেন।
১/ বেশি টিভি দেখা। বেশি টিভি দেখলে মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অস্কফোডের বিজ্ঞানীরা প্রমান করেছেন যে বই পড়লে আমাদের জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নত হয় আর রিডিং পড়া আমাদের ব্রেইনের এমন অংশকে একটিভ করে যা আমরা ব্যবহার করি না। বই পড়ার ফলে ব্লাড ব্রেইনের ঐ সকল এলাকায় প্রবেশ করে। কম্বিনেশন অফ কন্সেন্ট্রেশন করানোর জন্য রেস্পন্সিবল হয়ে থাকে এতে আমাদের কন্সেন্ট্রেশন ভালো হয় আর বোঝার ক্ষমতাও বাড়ে। তাই ফোনটা টেপা বাদ দিয়ে নিয়মিত বই পড়ার চেষ্টা করুন।